Wednesday, November 17, 2010

'Statement of Purpose' for Bioinformatics program, Memphis, TN

Here I published the 'Statement of Purpose' what I used for getting admission in Bioinformatics program of University of Memphis at Tennessee, USA.

Writing this SOP was started while I was getting back home through my Aktel stuff bus. The backbone was written on my mobile LG KU 990 as a note. I fulfilled its 1000 characters limit.

You can read it here on my scribd.com space. You can also download it ... But I will strongly prohibit to using just 'copy-paste'.

my SOP for MS in Bioinformatics in Memphis, Tennessee, USA
Thanks for reading !

Sunday, September 26, 2010

****** আপা

******আপা,****** আপা
হাসিকেন মাপা মাপা,
কোনএকটা মাছের মত
তোমারহাসি একটু চাপা

ক্ষমতায় আসার পরই তোমার
ভরলো দুটা গাল,
তোমার চাপার জোর বাতাসে
ফুললো নৌকার পাল

তোমার চাপার জোর বাতাসে
দেশবাসী থর থর,
তোমার গলার আওয়াজ শুনে
করে উঠে ধর মর

মিথ্যে বুলির জাহাজ তুমি,
ধন্য তোমার মুখ,
কেবল তুমি চাপার জোরেই
ভরালে দেশের বুক

আপা, তুমি কত পড়?
জোয়ার উঠেছে নলেজের?
ডিগ্রীর মালা দিতে বিদেশী
লাইন লেগেছে কলেজের

তোমার জ্ঞানের জোয়ারে তো
ভেসে গেল দেশটা,
ছাত্ররা সব কলম রেখে
উঠে গেল শেষটা

ভাল্লাগে না, ভাল্লাগে না
এর বেশি আর পড়তে
অস্ত্র হাতে উঠলো ওরা
‘খেলাধুলা’ করতে

তোমার বুকের সোনার মানিক
ধন্য ওদের বল
‘খেলা’ দেখার ভয়ে সবাই
আতঙ্কে টলমল

‘ভয় পেওনা, ভয় পেওনা
খেলা বাকি আছে’,
‘এক এক করে দেখিয়ে যাবো
ভয় পেওনা পাছে’

আচ্ছা আপা, ইচ্ছে তোমার
অভিনয়ে তুমি নামবে?
এত এত ডিগ্রীর পরেও
অস্কারও কাছে টানবে?

মা বাপ কেউ নেই বলে কেন
মঞ্চে উঠেই কাঁদ ?
আচ্ছা আপা, ভোরে উঠে
রোজই কি গলা সাধ ?

শান্তি তুমি আনছ ফিরে
এই দেশেরই বুকে
তাই তো ওরা মাতম করে
কাঁদছে মনের সুখে

কত মায়ের বুক থেকে আর
কাড়বে বুকের ধন ?
দেশটা বিরান করেই দেবে
এই করেছ পণ?

আচ্ছা বুবু, দিল্লী থেকে
কত বেতন পাও মাসে ?
এদিক অধিক থেকেও
তোমার কত ইনকাম আসে ?

ধন্য আপা, ধন্য বুবু
ধন্য তোমার শোক
দেশের **ছায় বাঁশ দিয়া কও
দেশ চিরজীবী হোক

-------------------------------------------------------------
[লেখক জীবনেরমায়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক]
রচনা: ২৫শে এপ্রিল, ২০০০
রিলিজ:২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০১০

আম্রিকা: নতুন জীবনের সাথে নতুন ব্যথা

আজ দুপুরে আম্রিকান এম্বাসী থেকে পাসপোর্ট হাতে পাইলাম; একটু ভারী, ভিসা স্টিকারটার জন্য।
সেই সাথে মনটাও একটু ভারী, সব প্রিয়জন কে একসাথে হারাবার আগাম ব্যথায়।

মাথা আনন্দে গিজগিজ করছে; আর মন ব্যথায়।
দ্বিত্বতা মানুষের সব কিছুতেই; চাওয়া-পাওয়া সব কিছুতেই। আর মানুষেরই বা কি করা; মানুষের DNA টাই তো double-helix 

কিছুদুর রিক্সায় এসে এরপর উঠলাম ঢাকার ঐতিহ্য ৬ নম্বর বাসে। বাস চললো ধুকে ধুকে। কিন্তু এখন ২৭-বছর ধরে চেনাজানা ঢাকার সবকিছুই কেমন যেনো ভাল লাগতে শুরু করেছে। এমনকি রাস্তার জ্যাম, ঘামে ভেজা মানুষগুলার বেছে থাকার সংগ্রাম, একটা বাচ্চা মেয়ের বাসে উঠে স্লিপ বিলিয়ে কাঁচা ভাষায় সাহায্য চাওয়া, গুলশান লেক থেকে ভেসে আসা বাতাস; সবকিছুই। মানসিক এই প্রতিক্রিয়াটার কি কোন নাম আছে? কি বলা যায়, Pre-emptive Nostalgic Syndrome (PNS)? জ্ঞানী-গুনী কারো জানা থাকলে একটু বইলা দিয়েন।

এখন হুরাতাড়া করে সব গোছাও, শপিং গুলা সারো, টিকেট কনফার্ম করো, ব্যাগ গোছাও, কি নিবা কি ছাড়বা ঠিক করো... ইত্যাদি ইত্যাদি।

এম্বাসী ভিসা দিতে দেরি করলো অনেক; তাই তাড়াহুড়া।
কিন্তু এই তাড়াহুড়ার ভাঁজে-ভাঁজে কি প্রিয়জন হারানোর ব্যথা ভুলে থাকার অভিনয় নেই ?


[আমার এই লেখাটা প্রথম প্রকাশিত হয় সচলায়াতনে অতিথি লেখক হিসেবে ]

Sunday, August 8, 2010

(এক যুগ আগে) এক রাতে

ছাদের উপরে সিঙ্গেল খাটে
দু’ চোখে একটু ঘোর,
ঘোরে ঘোরে কেটে সারা এক রাত
কেটে হয়ে গেলো ভোর।

আকাশটা জুড়ে ছেড়াঁ ছেড়াঁ মেঘ
চাঁদ ঢেকে দিতে চায়,
কিন্তু এমন ষোলকলা চাঁদ
মেঘে কি ঢাকতে পায় ?

স্বপ্নের কোন্ দেশে থেকে যেন
বইছে মাতাল হাওয়া,
চেতনের এক গভীর অতলে
নিশ্চুপে ছুয়েঁ যাওয়া।

দুচোখে আমার স্বপ্নের মদ
ঢালে কোন্ অচিন প্রিয়া,
কি যে জুয়া এক খেলতে চায়
ছেঁড়া ছেঁড়া এ মন নিয়া।

আমার উদাস মনটা তখন
শরত্ মেঘের মত,
পেঁজা পেঁজা হয়ে যায় উড়ে যায়
স্বপ্নের দেশ কত।

ছেঁড়া মেঘগুলো যাযাবর যেন
নামতে তারা না পায়,
এতটুকু জায়গা খুজিবার তরে
সমুখ পানেতে ধায়।

সারা শরীরে নেশা ধরে যায়
মৃদু বাতাসের তোড়ে,
চোখ দুটি গাঢ় আবেশিত থাকে
রঙ্গিন স্বপ্ন ঘোরে।

নীল চাঁদোয়ার মাঝখানে ভাসে
ধবল মেঘের ভেলা,
মাঝখানে তারা চাঁদ নিয়ে খেলে
রংবৃত্তের খেলা।

ফ্যাকাশে মেঘের মাঝখানে ভাসে
আলো আলোময় চাঁদ
চাঁদটিকে যেন জরিয়ে রেখেছে
রং বৃত্তের ফাঁদ।

প্রাণমোহিনী একটুকু সুধা
একটু স্বপ্নরস,
অজানার পথে কেমনে করেছে
প্রাণ মন মোর বশ।

ওদিকে আমার নেশাময় মন
অসীমের পানে ধায়,
বুঝেও বুঝতে পারলাম না কেন
কি খোঁজ সে পেতে চায়।

সব হারিয়েও পেতে চায় সে
অমরলোকের স্বাদ,
রাহবার হয়ে এসেছে যেনো এ
আলোক রাতের চাঁদ।

কোন্ সে এক অচিন জগতে
হৃদয় আমার ধায়,
অচেনা এক পরমের রসে
মরম রঙিনে নায়।

সারা দিনমান কত ব্যস্ততা,
নিজকে হারায়ে খুঁজি,
এতটুকু কাল খুঁজিয়া না পাই
পরমের তরে নুজিঁ।

আমারে এখন টেনে নিয়ে যায়
আলোক চাঁদের ফাঁদে,
মনখানি মোর ভাসিয়ে দিলো
আবেশ রাতের স্বাদে।
এটুকুর লাগি সারা দুনিয়া
তারে খুঁজে খুঁজে কাঁদে।



হেনকালে যেন চেতন জুড়িয়া
ভোরের আযান পড়ে,
সারা জীবকূল সাড়া দিয়ে উঠে
মৃদু মৃদু কলে বরে।

এতটুকু রাতই জীবন ব্যপিয়া
জীবন ধন্য করে,
ক্ষুদে এ জীবনে স্মরণে পরিয়া
আবেশে বুকটি ভরে।

-- kmonsoor

    রচনা: ৮ ই আগস্ট, ১৯৯৮
নামকরণ: ৮ ই আগস্ট, ২০১০
           @ মুহাম্মদপুর, ঢাকা

------------------------
কবিতা টা আমার পছন্দের ফর্মায় দেখতে এইরকম:
(এক যুগ আগে) এক রাতে

Tuesday, June 22, 2010

আমাগো ডিজিটাল পাসপোর্ট (MRP) কাহানি – পর্ব ২


যাক কাগজ পত্র ফাইনাললি ওক্কে করানের পরের দিন একদম সক্কাল বেলা যাইয়া গেটের বাইরে লাইনে দাড়াইলাম তাও লম্বা লাইন :(

৯টার সময় গেট খুললে ফাইনাল লাইনে যাইয়া দাড়াইলাম আমার সামনে ১০-১৫ জন লেডিজ গো লাইগা আলাদা লাইন আমার লাইনের পাবলিকের মধ্যে অনেকরেই দেখা গেল, আগের কোনো কামই করে নাই; আইসা এই লাইনে দাড়াইয়া রইছে হায়রে বাঙাল এক আনসারে আইয়া হেডিরে খেদাইলো

দেখলাম এই ডিজিটাল করনের কামডা আসলে করতাছে বিদিশি এক কোম্পানি অফিসের বাইরে যে উস্তাদি করতাছিল, মাইনে লাইন ঠিক করন, টুকেন দেওন ইত্যাদি কাম করতাছিলো, হের গলায় ফিতা ঝুলানি দেখলাম বড় কইরা কোম্পানির নাম “IRIS JV” লেখা ২০-২৫ মিনিটের ভিতরে টুকেন দিয়া দিলো; পাইলাম ১৪ নাম্বার কম্পিউটারে ছাপাইন্না টুকেন

সিরিয়াল আইলো পরে ঢুকলাম ভিতরে পুরা এসি; আহ, কইলজা পুরা ঠান্ডা হইয়া গেলো :D পরছিলাম এক নাম্বার কাউন্টারে এক জনে খোপের ভিতরে বইয়া আমার ফরম দেইখা দেইখা নাম ঠিকানা সব কম্পিউটারে উঠাইলো; প্রিন্ট কইরা আমারে দেখতে দিলো; সব ঠিক আছে নাকি; দেখলাম; এইবার বায়োলজিকাল ইনফরমেশন রুমে লাইন দিলাম; সেইহানে ছবি তুলন, আঙ্গুলের টিপসই লওন, সাক্ষর লওন এইগুলা করে
এইখানে কুনো তাড়াহুরা নাই সব ধীর স্থিরের কাম বহুত কায়দা কানুন কইরা ছবি তুললো; চশমা পইরা ছবিখান তুলন গেলো না B-(
সাইন লইল মেশিনের উপরে (Digital drawing pad আরকি) সাইন দেওনের সময় একখান জিনিস খেয়াল কইরা; পারলে চোখ বুইজ্যা সাইন দিবেন; নইলে মেশিনের কেরামতি আর আপনের চোখ মিল্যা সাইনের লাইন হইয়া যাইবো আঁকা-বাকা

বাস; টিপসই, আর সাইন দিয়া কাম শ্যাষ ঠিক ৪৫ দিন পর ডেট দিলো আর নয়া পাসপুট আনতে যাওয়ার আগে ফুন কইরা যাইতে কইল
আর আমার পুরান পাসপুট না রাইখা সেই কথা রিসিটে লেইখা দিলো; আর নতুনডা আনতে পুরানডা লগে নিয়া যাইতে কইল রিসিট নিয়া বাইর হইয়া চইলা আসলাম

দেহি, নয়া পাসপুট ঠিক মতো দেয় নাকি ?! বাংলাদেশ বইলা কথা ;)

Sunday, June 20, 2010

মা রে নিয়া একখান ছড়া : এবং কিছু প্রারম্ভিক প্যাচাল

মূল বিষয়ববস্তু এইখানে:


মা রে নিয়া ছড়া : কিছু আগলা প্যাচাল
২০০৪ সালের এক রাতে আমার ঘুম আসতেছিলো না এইটা কোনো ঘটনানা
ঘটনা হইলো, কেন আসতেছিলো না? আজাদ গ্রুপ বা অন্য কোনোকোম্পানি একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করছিলো বিষয়: মা দিবসউপলক্ষে ৮ লাইনের একখান ছড়া লেখতে হইবো চিন্তা করলাম,ওক্কে, লিখা ফেলাই একটা; চান্সে যদি কিছু টেকা-পয়সা পাওয়া যায় তো মাথার ভিতরছোট কৈরা একটা লাইন আইসা পরলো, “যখন তুমি থাকবে না, মা” ঠিক করলাম, কালকেলেইখা ফেলামু
রাত ১ টার দিকে গেলাম ঘুমাইতে; শুইয়া শুইয়া মাথার ভিতর ওইপ্রথম লাইনের সাথে তাল মিলাইয়া আরো ৪/৫ টা লাইন আইসা পরলো মগজরে যত কই“ঘুমা !”; মগজ তত ছড়া প্রডাকশনে মন দেয় এই করতে করতেবাজলো “পৌনে ২ টা” মেজাজ পুরা বিলা হইয়া গেলো ছড়ার ***রে ***
বুঝলাম, এই মস্তিস্ক-সন্তান(Brainchild) রে ডেলিভারি(?) নাদেওন পর্যন্ত শান্তি নাই শোয়া থিকা উইঠা লেখা শুরু কইরা দিলাম লেখতে লেখতে লাইনসংখ্যা ৩৫-৪০ পার হইলো
হঠাৎ মনে হইলো, আইচ্ছা, আমিও তো আগে মরতে পারি; বেস্ট-কেসেএকসাথেও তো মরতে পারি (If...else if...else ব্লকের মতো) ;)
সো এই ব্যপারেও তো একটা দিক-নির্দেশনা দেওয়া লাগে নইলে কেমন একটা আধা-খ্যাচড়া ভাব থাকা যাইবো মস্তিস্ক-সন্তানলম্বা হইতে লাগলো; আমি “নীরব-দর্শকের” মতো “লে”খতে লাগলাম :(
লাইন সংখ্যা ৭০ এর কোঠা ছাড়ল ছোটখাটো কিছুএদিক সেদিক এডিট দিলাম
ফাইনালি যখন নিজে একবার পুরাডা পরলাম, নিজের চোখেই পানিআইসা পরলো :( তখন ডিসিশননিলাম, নাহ্, এই লেখা প্রতিযোগিতায় পাঠাইলে মা-রে ছোট করা হইবো প্রতিযোগিতা বাদ
আবার চিন্তা করলাম, আমার চোখেই পানি আইসা পরছে, মা তোঅবশ্যই কান্না কাটি করবো সো মা-রেও এখন দেখামু না একটা অকেশন আসুক তখন একটা সবাইরেস্পেশালি মা-রে একটা চমক দেওন যাইবো এইজন্য কাউরেইপড়তে দিলাম না আমি আড়াইটা বা তিনটার দিকে ঘুম গেলাম আর শেষ রাতে জন্মহওয়া আমার মস্তিস্ক-সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর-পরই প্যাড এর ভিতর চাপা পড়ল :(
২০১০ এ একটা বিশেষ কারণে আমার সমস্ত স্থাবর-অস্থাবরকাগজ-পত্র scan করে ডিজিটাল করায় এই ছড়াটাও কম্পিউটারে চলে আসলো জুন মাসে এইটাGoogle Transliterate দিয়া খুব তাড়াতাড়ি কম্পোজ কইরা ফেললাম; এই লেখাটা যখনলেখতাছি, তখনো মা-য় ছড়া দেখেনাই ছয় বচ্ছর পাঠকেরমুখ না দেখা সন্তান আমার আইজ Internet এর মুখ দেখবো :)

ঠিক করছি, মা রেআইজ একটা প্রিন্ট করা কপি পাঠামু


-- কেমনসুর @২০-জুন-২০১০
to.kmonsoor@gmail.com http://kmonsoor.blogspot.com/


কেউ যদি এইটা পইড়া নিজের মা রে দিতে চান, তবে এই লিঙ্ক থিকা PDF ডাউনলোডাইয়াপ্রিন্ট কইরা
দিতে পারেন

Wednesday, June 16, 2010

যখন তুমি থাকবে না, মা

শীতের রাতে হিম প্রহরে
তোমায় পড়ে মনে,
দেখে তুমি চাদর দিতে
জড়িয়ে সযতনে।


জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকে
মাগো যখন ডাকি,
তোমার হাতের মাথা ধোয়া
কেউ পারবে নাকি?


কত জনেই ধুলো মাথা
কেউ পারেনা কেন,
পানি তোমার হাতের ছোয়ায়
জ্বর কেড়ে নেয় যেন।


তুমি যখন মারতে মাগো
ব্যথা সাথে সাথে,
এত বছর পরে বুঝি
আদর ছিলো তাতে।


আমার পেটে লাগলে ক্ষুধা
দুঃখ তোমার বেশী,
তুই কি খাবি? তুই কি খাবি ?
রাধ‍ঁ চুলার পাশি।


তোমায় কত ভালবাসি
দেখতে যদি পেতে,
সাথে সাথে আমায় তোমার
বুকে জড়িয়ে নিতে।


শেষ প্রহরে কে মা আমায়
একটু দেখে যায়,
চোখ বুলিয়ে যায় যে খানিক
পরম মমতায়।


দুনিয়াতে আসার সময়
কষ্ট দিলাম কত,
বুকের দুধে হলাম বড়
কষ্ট অবিরত।


ঋণ থাকা তো ভালো না মা
সারা দিনের বোঝা,
কিভাবে তোমার শুধবো এ ঋণ
বলে দাও মা সোজা।


মাফ করে দাও মা’রে আমায়
মমতার এ ঋণ,
আমার দেবার সব ক্ষমতা
ভালোবাসায় লীন।


যখন তুমি থাকবে না, মা,
কেমনে আমি রব,
তোমার কোলে শুয়ে থাকি
তখন কোথায় শোবো।


তুমি তো মা চলে যাবে
মরণের ঐ পাড়ে,
বুকের মাঝে কান্না চেপে
রাখবো কোথায় তারে।


তখন তো আর বলবে না কেউ
দুপুরে কি খাবি ?
বলবো কাকে, অমুকটা চাই
তমুক আমার দাবি।


আমার বুকে তোমার আসন
কেমনে রবে ফাঁকা,
তুমি ছাড়া এ ভুবনে
থাকবো মাগো একা।


যদি আমি যাই গো চলে
মাগো তোমার আগে,
মাথাটা খানিক জড়িয়ে রেখো
গলার নিচের ভাগে।


তোমার চোখের নোনা জলে
গোসল আমায় দিও,
কাফনের ছোট টুকরা খানি
তোমার আচল নিও।


কত ভাগ্য যদি আমি
মরি তোমার সাথে,
দু’কবরে থাকবো পাশে
সাথী দিবা রাতে।


চাঁদের আলো চুমবে দু’গোর
চুমবে একই সাথে,
দু’কবরের ঘাসগুলো সব
হাসবে চাঁদনী রাতে।


মুক্তো মুক্তো শিশির বিন্দু;
পরবে শেষের রাতে।

Thursday, May 27, 2010

আমাগো ডিজিটাল পাসপোর্ট (MRP) কাহানি – পর্ব ১

আপনেরা অনেকেই হয়তো ডিজিটাল পাসপুট করানের ধান্দা করতাসেন; সেই লিগাই এই পুষ্টানো; ভুলভাল হইলে ধরাইয়া দিয়েন

গত হপ্তায় গেছিলাম পাসপোর্ট করাইতে যাইয়া দেহি, বিরাট ইতিহাস আনসার আর আর্মি মিল্যা সেরাম অবস্থা মনে হইতাছিলো, কুনো সভ্য-দ্যাশে আইয়া পরছি। ;)

দেয়ালে দেয়ালে চিকা মারা, ছয় মাসের অধিক মেয়াদ থাকলে আপাততঃ পাসপোর্ট নবায়ন করা হচ্ছে না তবে জরুরি, অনেকদিনের লাইগা বাইরে যাইতাছিগা ইত্তাদি ভুংভাং বুঝাইলে মনে হয় এক বচ্ছরের লাইগা নবায়ন করা যায়; একহাজার ট্যাকা লাগে মনে হয় লেকিন আপনার পাসপুট এর মেয়াদ এক বসরের উপরে থাকলে আপনার ঐখানে কোন খাওয়া নাই বাসায় বইয়া ঘুমান
আর নয়া পাসপুট করাইতে তিন হাজার ট্যাকা লাগে তবে জরুরি ফিস বইলা কিছু নাই; যদিও সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে জরুরীর কথা লেহা আছে

নয়ডা বাজনের আগেই লাইন শুরু হইয়া যায় আগে আগে গেলে কাম চালু কইরা হইয়া যাইতে পারে তয় লাস্ট টাইম মনে হয় একটা পর্যন্ত দালালগো দেখলাম কোন খাওয়া নাই দেওয়ালের বাইরে খালি দুই একটারে আপ-ঝাপ করতে দেখলাম

বিল্ডিং এর বাইরে দাড়ায়া/দৌড়াইয়া হেলপার হিসাবে আনসাররা কাম করতাছে নরমাল কথাবার্তা গুলান এগো থিকাই জানা যায় টাকা জমা দেয়ার রিসিটও থাকে এগো কাছে
জটিল কেস হইলে ভিতরে হেল্প-ডেস্ক আছে, হ্যাগোরে জিগানো যায়; ওনারা পুরা ফর্ম-কাগজ-পত্র ঠিক আছে নাকি দেইখা দেয়; ফিস রিসিট আঠা দিয়া ফর্ম এর উপর লাগায়া দেয় হেল্প-ডেস্ক এ আর্মি-সিভিলিয়ান দুইটাই আছে সিভিলিয়ানগো অনেকের গলায় কালা ফিতা ঝুলানি

নবায়ন-কেস হইলে একটা ফরম ফিলাপ করন লাগে আর নয়া-কেসে দুইডা ফরম ঐখানে ছাড়া এইখানেও পাইবেন এইখানে সরকারী বিজ্ঞপ্তি গুলাও পাইবেন ফরম ডা সত্তায়ন করাইতে একটু খেয়াল কইরেন সত্তায়ন যে করবো, হ্যারে ফোনে জিগাইতে পারে বইলা শুনলাম আর ফরমডায় যেই নম্বর/রেফারেন্স গুলান দিবেন, যেমন ভোটার-আইডি, জন্ম-সার্টিফিকেট, টিন-নম্বর ইত্যাদি, সেই কাগজ গুলার ফটোকপি লগে দেওন লাগবো আর অরজিনাল-গুলিও দেখান লাগতে পারে, লইয়া যাইয়েন
হেল্প-ডেস্ক থিকা ওকে কইরা দিলে, আরেকটা লাইনে খাড়াইতে হয় ঐখানে ফাইনালি অফিসিয়ালি ওক্কে বইলা একটা সিল ছাপ্পর দিয়া দেয় হেরপর আরেক লাইনে যাইয়া খাড়াইতে হয় লাইন ধরার পর বাঙালি-জাতির সেই হাজার বচ্ছরের খারাপ-অভ্যাস দেখা গ্যালো; লাইন না ধইরা হালকার উপর সামনে ঢুইকা পরনের অভ্যাস ঝারি মারলে এরা আবার ভুং-ভাং দিয়া বুঝানের চেষ্টা করেএগো লগে হালকা কাও-কাও করণ লাগতে পারে

হ্যারপর কি হয় জানা নাই আপনে জানতে চাইলে লাইনে খাড়ায়া দেইখা আইতে পারেন; অর্ এই ব্লগ এর সেকুএল (২য় পর্ব) এর লিগা ওয়েট করতে পারেন

বিশেষ টিপস:
-------------
যদি ফ্যামিলির সবার বা কুনো লেডিজের পাসপুট করাইতে চান, তয় মা-বউ-পুলাপাইনরে হুদাই কষ্ট দিয়েন না

১ম দিন দুপুর ১২-১ টার দিকে ফরম ফিলাপ কইরা, সব কাগজ-পত্র-ছবি নিয়া একলা যাইবেন কাগজপত্রে ঝামেলা থাকলে একলা দৌড়াইয়া সব সারেন মনে রাইখেন, বাচ্চা সাইন না করতে পারুক আর না পারুক, সাইন করুক আর নাই করুক, টিপসই অবশ্যই লাগব সব ফরম ফাইনাললি ওক্কে করান তখন একটা ফাইনাল সিল-ছাপ্পর দিয়া দিবো

পরের দিন এক্কেরে সকালে ( ৮:১৫ টার ভিতরে) ব্যাকটিরে নিয়া লাইনে খারান তখনো গেইট খুলবে না; বাইরেই দাড়ায়া থাকেন গেইট খুললে ঢুইকা একবারে ফাইনাল কাউন্টারে যাইয়া লাইন দ্যান (দেখপেন উপরে গেইটের উপরে লাল ডিজিটাল কাউন্টার লাগাইন্যা) সেইখান থিকা টুকেন দিবো সেই টুকেন লইয়া ভিতরে ঢুকবার পারবেন

ওক্কে ?